সর্বজনীন পেনশন বিষয়ে একটি রচনা লিখ।Shorbojonin Pension Eassy

'সার্বজনীন পেনশন' এ বিষয়ে একটি রচনা লিখুন।
সর্বজনীন পেনশন বিষয়ে একটি রচনা লিখ।Shorbojonin Pension Eassy

ভূমিকা : সর্বজনীন পেনশন হলো বাংলাদেশ সরকারের অবসরভাতা উদ্যোগের একটি ব্যবস্থা। একজন ব্যক্তির বয়স ও অবদানের হিসাবের উপর নির্ভর করে এই সুবিধার তারতম্য হয়ে থাকে। যদি অবদানের ন্যূনতম সংখ্যক অবদানের যোগ্যতার বছর থাকে সেক্ষেত্রে কেউ পেনশন দাবি করতে পারে। দেশের জনগণের গড় আয়ু বৃদ্ধির কারণে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যে এবং ভবিষ্যতে কর্মক্ষম জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে নির্ভরশীলতার হার বৃদ্ধি পাবে বিবেচনায় নিয়ে মহান জাতীয় সংসদ কর্তৃক “সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩” পাশ করা হয় ।

পটভূমি : ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ কর্তৃক প্রকাশিত ইশতাহারে দলটি সব শ্রেণির নাগরিকের জন্য একটি অবসরভাতার ব্যবস্থা প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা প্রবর্তনের ঘোষণা করা হয়েছিলো । ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থার উপর প্রস্তুতকৃত কৌশলপত্র উপস্থাপনের পর যত দ্রুত সম্ভব এই নতুন পেনশনব্যবস্থার উদ্দেশ্যে একটি আইন প্রণয়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। ৩০ মার্চ ২০২২-এ সর্বজনীন পেনশন আইনের খসড়া প্রকাশিত হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ৯ জুন ২০২২ সালে ঘোষণা করেন যে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা চালু করা হবে। ৬ জুলাই ২০২৩ সালে সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়। প্রতিশ্রুত দিনে শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থার উদ্বোধন করেন। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩-এর আলোকে গঠিত জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হয়।

উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য :

 - জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে ১৮ বছর তদূর্ধ্ব বয়স হতে ৫০ বছর বয়সি সকল বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রণ করতে পারবে; তবে শর্ত, বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং সেক্ষেত্রে স্কিমে অংশগ্রহণের তারিখ হতে নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন সে বয়স হতে আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন ।

 - বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীগণ এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে। প্রত্যেক চাঁদাদাতার জন্য একটি পৃথক ও স্বতন্ত্র পেনশন হিসাব থাকবে। 

 - পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে পেনশনারের নমিনি অবশিষ্ট সময়ের (মূল পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) জন্য মাসিক পেনশন প্রাপ্ত হবেন।

 - চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। এবং

 - পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসাবে গণ্য করে কর রেয়াতের জন্য বিবেচিত হবে এবং মাসিক পেনশনবাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে।

স্কিমসমূহ : সর্বজনীন পেনশনের অধীনে চার ধরনের স্কিম রয়েছে। এগুলো হলো-

১. প্রবাস স্কিম : বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যে-কোনো বাংলাদেশি নাগরিক তার অভিপ্রায় অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধের শর্তে নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদানপূর্বক এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রবাস হতে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর সমপরিমাণ অর্থ দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করাসহ প্রয়োজনে স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন। পেনশন স্কিমের মেয়াদপূর্তিতে পেনশনার দেশীয় মুদ্রায় পেনশন প্রাপ্য হবেন ।

  এছাড়াও, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক “সুরক্ষা” স্কিমে তাঁর পরিবারের ১৮ বা তদূর্ধ্ব এক বা একাধিক সদস্যের (যেমন— স্বামী, স্ত্রী, বাবা, মা, ভাই, বোনের) জন্য আবেদন করে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা প্রদান করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তিনি যার জন্য পেনশনার অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করবেন তাঁর এনআইডি, ব্যাংক হিসাব নম্বর এবং নমিনির তথ্য প্রদানপূর্বক নিবন্ধন করবেন। প্রবাস স্কিমের স্লোগান— প্রবাস স্কিমে অংশগ্রহণ, দেশে ফিরে সুন্দর জীবন। মাসিক চাঁদার হার ২০০০, ৫০০০, ৭,৫০০ ও ১০,০০০ টাকা। 

প্রবাস স্কিম
মাসিক চাঁদার হার ২,০০০ টাকা৫,০০০ টাকা ৭,৫০০ টাকা ১০,০০০ টাকা 
চাঁদা প্রদানের মোট সময় (বছরে)মাসিক পেনশন (টাকা)মাসিক পেনশন (টাকা)মাসিক পেনশন (টাকা)মাসিক পেনশন (টাকা)
৪২৬৮,৯৩১১,৭২,৩২৭২৫৮৪৯১৩৪৪৬৫৫
৪০৫৮,৪০০১,৪৬,০০১২১৯০০১২,৯২,০০
৩৫৩৮,৩৭৪
৯৫,৯৩৫১৪৩৯০২১৯১৮৭০
৩০২৪৯৩২৬২,৩৩০৯৩৪৮৫১২৪৬৬০
২৫
১৫৯১০৩৯,৭৭৪৫৯৬৬১৭৯৫৪৮
২০
৯৮৫৪২৪,৬৩৪৩৬৯৫১৪৯২৬৮
১৫৫৭৮৯১৪৪৭২২১৭০৮২৮,৯৪৪
১০
৩০৬০৭৬৫১১১৪৭৭১৫,৩০২



২. প্রগতি স্কিম : বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীদের জন্য এ সুবিধা। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অথবা নিজ উদ্যোগে এককভাবে এ স্কিমে যুক্ত হওয়া যাবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মচারী বা উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক তফসিলে বর্ণিত হারে চাঁদা প্রদানপূর্বক এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে উহার কর্মচারীগণের জন্য এই স্কিমে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে স্কিমের চাঁদার ৫০% কর্মী এবং বাকি ৫০% প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ না করলেও, উক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মচারী নিজ উদ্যোগে এককভাবে এ স্কিমে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই স্কিমের স্লোগান— চাকরি করি বেসরকারি, পেনশন স্কিমে আমিও আছি। মাসিক চাঁদার হার ২,০০০, ৩,০০০, ৫,০০০ ও ১০,০০০ টাকা।

প্রগতি স্কিম
মাসিক চাঁদার হার  ২,০০০ টাকা ৩,০০০ টাকা  ৫,০০০ টাকা  ১০,০০০ টাকা 
চাঁদা প্রদানের মোট সময় (বছরে) মাসিক পেনশন (টাকা) মাসিক পেনশন (টাকা) মাসিক পেনশন (টাকা) মাসিক পেনশন (টাকা)
৪২ ৬৮,৯৩১ ১,০৩,৩৯৬ ১,৭২,৩২৭ ৩৪৪৬৫৫
৪০ ৫৮,৪০০ ৮৭,৬০১ ১,৪৬,০০১ ২,৯২,০০
৩৫ ৩৮,৩৭৪
৫৭,৫৬১ ৯৫,৯৩৫ ১৯১৮৭০
৩০ ২৪৯৩২ ৩৭,৩৯৮ ৬২,৩৩০ ১২৪৬৬০
২৫
১৫৯১০২৩,৮৬৪ ৩৯,৭৭৪ ৭৯৫৪৮
২০
৯৮৫৪ ১৪৭৮০ ২৪,৬৩৪ ৪৯২৬৮
১৫ ৫৭৮৯ ৮৬৮৩
১৪৪৭২
২৮,৯৪৪
১০
৩০৬০ ৪৫৯১ ৭৬৫১ ১৫,৩০২


৩. সুরক্ষা স্কিম : অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি; যেমন: কৃষক, রিক্সাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিসহ সকল অনানুষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদানপূর্বক এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন । এই স্কিমের স্লোগান— কৃষক শ্রমিক জেলে তাঁতি, পেনশন স্কিমে সবাই মাতি । মাসিক চাঁদার হার ১,০০০, ২,০০০, ৩,০০০ ও ৫,০০০ টাকা ।

সুরক্ষা স্কিম 
মাসিক চাঁদার হার ১,০০০ টাকা২,০০০ টাকা ৩,০০০ টাকা ৫,০০০ টাকা 
চাঁদা প্রদানের মোট সময় (বছরে)মাসিক পেনশন (টাকা)মাসিক পেনশন (টাকা)মাসিক পেনশন (টাকা)মাসিক পেনশন (টাকা)
৪২৩৪,৪৬৫৬৮,৯৩১১,০৩,৩৯৬১,৭২,৩২৭
৪০
২৯,২০০
৫৮,৪০০
৮৭,৬০১
১,৪৬,০০১
৩৫১৯,১৮৭৩৮,৩৭৪৫৭,৫৬১৯৫,৯৩৫
৩০১২,৪৬৬
২৪৯৩২
৩৭,৩৯৮৬২,৩৩০
২৫
৯,৭৫৫১৫৯১০২৩,৮৬৪৩৯,৭৭৪
২০
৪৯২৭৯৮৫৪১৪৭৮০২৪,৬৩৪
১৫২৮৯৪৫৭৮৯
৮৬৮৩
১৪,৪৭২
১০
১৫৩০৩০৬০৪৫৯১৭,৬৫১



৪. সমতা স্কিম : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত আয় সীমার ভিত্তিতে দারিদ্র্য সীমার নিম্নে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিগণ (যাদের বর্তমান আয় সীমা বার্ষিক অনূর্ধ্ব ৬০ (ষাট) হাজার টাকা) তফসিলে বর্ণিত হারে চাঁদা প্রদানপূর্বক এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং সমতা স্কিমে কর্তৃপক্ষ বিধি অনুসারে সমপরিমাণ অর্থ জমা করবে । এই স্কিমের স্লোগান— সমতা স্কিমের নিশ্চয়তা, সরকার দেবে সহায়তা। সমতা স্কিমে মাসিক চাঁদার হার ১,০০০ টাকা । যার মধ্যে চাঁদাদাতা জমা দিবেন ৫০০ টাকা এবং বাকি ৫০০ টাকা দিবে সরকার।

মাসিক চাঁদার হার ১,০০০ টাকা (চাঁদাদাতা ৫০০ টাকা + সরকারি অংশ ৫০০ টাকা)  
চাঁদা প্রদানের মোট সময় (বছরে) মাসিক পেনশন (টাকা)
৪২ ৩৪,৪৬৫
৪০২৯,২০০
৩৫১৯,১৮৭
৩০১২,৪৬৬
২৫
৯,৭৫৫
২০
৪৯২৭
১৫২৮৯৪
১০
১৫৩০


সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবে। তবে, বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্ব নাগরিকগণও ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন চাঁদা প্রদান করলে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। •

• প্রবাস থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রেরিত চাঁদার ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা পাওয়া যাবে। এ প্রণোদনার অর্থ তার চাঁদা হিসেবে জমা হবে।

•  ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে এবং ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে চাঁদার টাকা জমা দেওয়া যাবে ।

• প্রবাসী স্কিমে অংশগ্রহণকারীগণ ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় মাসিক চাঁদার টাকা জমা দিবে।

• চাঁদার টাকা ট্রেজারি বন্ডসহ নিরাপদ কার্যক্রমে বিনিয়োগ করা হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে প্রদত্ত চাঁদা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর রেয়াত পাওয়া যাবে। আবেদনের সময় চাঁদাদাতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক । মাসিক পেনশনবাবদ প্রাপ্ত অর্থও আয়কর মুক্ত থাকবে।

• - নির্ধারিত ফরমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে, যার বিপরীতে আবেদনকারীর অনুকূলে একটি ইউনিক আইডি প্রদান করা হবে।

• মোবাইল নম্বর ও প্রবাসীদের ই-মেইলের মাধ্যমে ইউনিক আইডি নম্বর, চাঁদার হার এবং মাসিক চাঁদা প্রদানের তারিখ অবহিত করা হবে। সোনালী ব্যাংকের প্রতিটি শাখা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সম্মুখ অফিস হিসেবে কাজ করবে।

• পেনশনের টাকা তোলার জন্য কোনো অফিসে যেতে হবে না। আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেনশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হবে।

পেনশন স্কিম ও চাঁদার হার যে-কোনো সময় পরিবর্তন করা যাবে। তবে, পেনশনার আইডি অপরিবর্তিত থাকবে।

• বিদেশে অর্জিত অর্থ থেকে নিরাপদ সঞ্চয়ের লক্ষ্যে প্রবাস স্কিমে চাঁদা প্রদান করলে ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। · প্রবাস স্কিমে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা প্রদানে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন। এ প্রণোদনার অর্থ তার চাঁদা হিসাবে জমা হবে।

• প্রবাস স্কিমে অংশগ্রহণকারী প্রবাসী কর্মী ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সহজেই সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে চাঁদার অর্থ জমা দিতে পারবে।

• পেনশন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে চাঁদাদাতাকে কোনো অফিসে আবেদন করতে হবে না । নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা প্রদান করলে ৬০ বছর পূর্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে EFT (Electronic Fund Transfer) এর মাধ্যমে তার ব্যাংক একাউন্টে মাসিক পেনশনের টাকা জমা হবে।

• প্রবাস স্কিমে অংশগ্রহণকারী প্রবাসী কর্মী দেশে ফেরত আসলে অন্য স্কিমে (প্রগতি, সুরক্ষা) চাঁদাদাতা হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রবাস স্কিমে অংশগ্রহণকারী চাঁদাদাতা ০৩ মাস, ০৯ মাস ও ১২ মাসের চাঁদা একসাথে জমা প্রদান করতে  পারবে।

• প্রবাস আয় থেকে দেশে প্রেরিত অর্থের বৃহৎ অংশ সাংসারিক প্রয়োজনে ব্যয় হয়। প্রবাস পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করলে প্রবাসী কর্মী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করে ভবিষ্যতে যখন কর্মহীন হবে তখন এ অর্থ ব্যয় করতে পারবে।

•  প্রবাসী কর্মী নিজ নামে অনলাইনে রেজিট্রেশন করে এ স্কিমে অংশগ্রহণ করবে, তাই এ কার্যক্রমে ৩য় কোনো ব্যক্তির হস্তক্ষেপ থাকবে না। 

• যেহেতু সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নমিনী রাখার সুযোগ রয়েছে তাই কোনো কারণে প্রবাসী চাঁদাদাতা মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত সকল অর্থ মুনাফাসহ নমিনীকে ফেরত প্রদান করা হবে।

উপসংহার : দেশের সব সাধারণ মানুষকে পেনশনব্যবস্থার আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এটি চালু করা হয়েছে মূলত সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান, বেকারত্ব, ব্যাধি, পঙ্গুত্ব বা বার্ধক্যজনিত কারণে নাগরিকদের সরকারি সাহায্য দেওয়া, বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে। আশা করা যায়, সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা সবার আরও ভালো ও একটি উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে কার্যকর অবদান রাখবে।

Post a Comment

0 Comments